কৃষির নতুন প্রযুক্তিগুলির মধ্যে রয়েছে জৈবপ্রযুক্তি, কৃষি প্রযুক্তি বা এগ্রোটেকনোলজি (রোবট, সেন্সর, জিপিএস), সর্জন পদ্ধতিতে চাষ (টেকসই কৃষি), হাইড্রোপনিকস, উন্নত জাতের বীজ ও আধুনিক যন্ত্রপাতি। এই প্রযুক্তিগুলো খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, দক্ষতা বৃদ্ধি, লাভজনকতা এবং পরিবেশ সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
কৃষির নতুন প্রযুক্তির প্রকারভেদ:
কৃষি জৈবপ্রযুক্তি (Agricultural Biotechnology):
এটি জীববিজ্ঞানের একটি শাখা যা উদ্ভিদ, প্রাণী এবং অণুজীবের জেনেটিক উপাদান বা অন্যান্য জীববিজ্ঞানী প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষি উৎপাদন উন্নত করে।
এর মধ্যে রয়েছে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, মলিকুলার মার্কার, আণবিক ডায়াগনস্টিকস এবং টিস্যু কালচার।
এটি ফসলের উন্নত জাত তৈরি ও রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
এগ্রোটেকনোলজি (Agri-technology):
কৃষি, উদ্যানপালন এবং জলজ চাষে প্রযুক্তির ব্যবহারকে বোঝায়।
এর মধ্যে রয়েছে:
রোবট ও অটোমেশন: স্বয়ংক্রিয়ভাবে কৃষিকাজ করা।
সেন্সর ও জিপিএস: তাপমাত্রা, আর্দ্রতা এবং জমির অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা।
আকাশের ছবি: জমির অবস্থা বিশ্লেষণ ও উন্নত ব্যবস্থাপনার জন্য।
টেকসই কৃষি (Sustainable Agriculture): সর্জন পদ্ধতিতে চাষ (Surjan Method) এর একটি উদাহরণ, যা কৃষির উন্নতি ও পরিবেশের সুরক্ষা একসাথে নিশ্চিত করে। এটি ঐতিহ্যগত পদ্ধতির পরিবর্তে অধিক টেকসই ও পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি অনুসরণ করে।
উন্নত চাষ পদ্ধতি: হাইড্রোপনিকস: মাটির ব্যবহার ছাড়াই পানিতে পুষ্টি দ্রবণ ব্যবহার করে উদ্ভিদ উৎপাদন করা।
উন্নত বীজ ও চারা: উন্নত জাতের বীজ ব্যবহারের ফলে কৃষকরা আগের তুলনায় বেশি ফলন পাচ্ছেন। এগুলো বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ করে।
কৃষি যন্ত্রপাতি: ট্রাক্টর, সেচ পাম্প, ফসল মাড়াইয়ের যন্ত্রসহ বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্রপাতি উৎপাদন প্রক্রিয়ার দক্ষতা বাড়াতে ব্যবহৃত হয়। এই প্রযুক্তিগুলো কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধি, দক্ষতা বাড়ানো, খরচ কমানো এবং পরিবেশকে সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে।